বরগুনা অনলাইন : বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডিলারের মাধ্যমে সাধারণ, গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি করেছেন। বুধবার দুপুরে পৌর শহরের নূরজাহান ক্লাবের সামনে বসে তিনি এসব পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করেন।
সরকার গত ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে পৌর শহরের নূরজাহান ক্লাবের সামনে বসে সরকার কর্তৃক আমতলী উপজেলার নির্ধারিত টিসিবি ডিলারের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে নিজ হাতে পণ্যবিক্রি ও বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন। তবে চাহিদার তুলনায় পণ্য সরবরাহ কম থাকায় অনেক ক্রেতারা পণ্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। এ সময় অনেক ক্রেতা পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির দাবি জানান।
টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় বরিশাল থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন এক হাজার লিটার সয়াবিন তেল, এক হাজার কেজি চিনি, ৫০০ কেজি ছোলাবুট, ১৫০ কেজি মুসুরী ডাল ও ৭০ কেজি খেজুর বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। যা চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
আমতলী উপজেলার টিসিবি’র ডিলার আবদুস সোবাহান লিটন বলেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য বরাদ্ধ দেয়া হয় তা দিয়ে আমতলীর মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের টিসিবির পণ্য ক্রয়ের চাহিদা রয়েছে কিন্তু সরবরাহ পেয়ে থাকি মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের। সপ্তাহে পাঁচ দিন এ পণ্য বিক্রি করে থাকি। মানুষ পণ্য ক্রয় করতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মোবাইল ফোনে বলেন, আজকে টিসিবি পণ্য সঠিকভাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রি কার্যক্রমে আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে তদারকি করেছি।