----

আমফান : বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক : করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এ কারণে চিন্তিত উপকূলের ৬টি উপজেলা বরগুনা, বামনা, আমতলী, বেতাগী, পাথরঘাটা ও তালতলীর মানুষ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই বরগুনায় ৫০৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার হচ্ছে ৩৪১টি এবং স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র ১৬৮টি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি আবাসন আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ড এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘আমফান’। আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবারে এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, গত বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিপথ অনুসরণ করে বাংলাদেশের উপরও আছড়ে পড়তে পারে নতুন এই ঘূর্ণিঝড়।

কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৮০ শতাংশ। বর্তমানে নিম্নচাপটির যে গতিমুখ রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথ নির্দেশ করছে। তবে গতিপথ যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে। আর যে গতিতে এগোচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মে’র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে। ১৭ মে এটি তীব্র রূপ ধারণ করলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৮ মে খুব তীব্র রূপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর ১৯ মে অতি তীব্র রূপ নিয়ে আমফানের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ উঠে যাবে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর গতি কমে ২০ মে ১৯০ কিমি, এরপর ১৭০ কিমি এবং ২১ মে ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে।

গতবছরের নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উড়িষ্যার পারাদ্বীপের কাছ থেকে বাঁক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশ দিয়ে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আমফানের গতিপ্রকৃতিও সেই রকম বলে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা মনে করলেও এটি বুলবুলের পথ অনুসরণ করবে কি-না তা এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অফিসার মো: লুতফর রহমান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক সুরক্ষা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী রাখা হবে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে গ্রাম পুলিশ ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের টিম সার্বক্ষণিক সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *