বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান ওরফে মিন্টুর হাতে জখম হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুন্দর আলী গাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুন্দর আলী এ অভিযোগ করেন।
সুন্দর আলী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের প্ররোচনায় তাঁর সহযোগী নুরু মিয়া ১৯ আগস্ট আমতলীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তাঁকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নামে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। আরজিতে তাঁকে (সুন্দর আলী) প্রধান হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট সকাল আটটা। অথচ ওই সময় তিনি পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁর তালতলী বন্দরের বাড়িতে ছিলেন।
সুন্দর আলী বলেন, মনিরুজ্জামান তাঁর লোকজন দিয়ে তাঁকে (সুন্দর আলী) মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। হুমকির অডিও ধারণ করে তিনি তালতলী থানার ওসিকে দিয়েছেন এবং একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন।
তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতার গতকাল দুপুরে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।’
সুন্দর আলী বলেন, মনিরুজ্জামান তাঁর (সুন্দর আলী) ও আরও কয়েকজনের জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে তাঁর কাছে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা চান। এ টাকা দিতে রাজি না হলে গত ২৩ জুলাই জনসমক্ষে তাঁকে দুই দফা পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরপর সাদা স্ট্যাম্পে সই রেখে তাঁকে ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সুস্থ হয়ে তিনি বরগুনা শহরে আশ্রয় নেন।