গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা
বরগুনার বদরখালীতে স্কুল ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার এ বিদ্যালয়ের শিশুরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও।
বদরখালী ইউনিয়নের ২৮ নং উত্তর কুমড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে এখনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ফলে বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের ছাদের প্লাস্টার উঠে গিয়ে রড পর্যন্ত বের হয়ে গেছে। ভবনটি এতই ঝুঁকিপুর্ণ যে, যে কোনো সময় তা ধসে পড়তে পারে। ভয়ে শিক্ষকেরা শিশুদের রোদে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় আবদুর রহিম জানান, এ এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। দুর্যোগ মুহূর্তে জরুরি আশ্রয় নেওয়ার জন্য নেই কোনো সাইক্লোন শেল্টার। সরকার আমাদের ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিলেও স্কুল ভবনটির অবস্থা শোচনীয়। ফলে আমাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের জোর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হোক।
বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফ ইলিয়াস আহম্মেদ স্বপন বলেন, আমার ইউনিয়নের উত্তর কুমড়াখালী কাটাখালী গ্রামে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। ঘুর্ণিঝড় সিডর, আইলার সময় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় অনেক মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে। এলাকাবাসীর একটাই দাবি এ ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটি সাইক্লোন শেল্টার হিসাবে পুনঃনির্মাণের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সুলতান আহম্মেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন দেখার জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইয়েরা একাধিকবার এসেছেন। মিডিয়ায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি এখনো মেলেনি। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটি পুননির্মান করা না হলে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, ইতিমধ্যে জেলা সদরের ১২টি ঝুকিপূর্ণ স্কুলের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এই স্কুলও আছে। আশা করি খুব শিগগিরই স্কুল ভবনটি পুননির্মাণ হবে।