করোনাকালে দুমুঠো খাবার জোটে না এই দুই প্রতিবন্ধীর

গোলাম কিবরিয়া, বার্তা সম্পাদক : তাজেনুর-দুলাল। দুই ভাই-বোন জন্মগত প্রতিবন্ধী। একজন ‘বাক’ অপরজন ‘বুদ্ধি’। বাবা বেঁচে নেই। বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতাকাটা এলাকায় একটি ভাঙা কুটিরে তাদের বসবাস। ভিটেটুকু ছাড়া এক ইঞ্চি জমিও নেই তাদের। হাঁটা-চলার পথটিতেও প্রতিবেশী নালা কেটে বন্ধ করে দিয়েছেন।

মূলত ফুট ফরমায়েশ খেঁটে আর চেয়ে-চিন্তে খাবারের জোগাড় হতো দুই ভাইবোনের। মহামারি করোনার কারণে এখন সে পথও বন্ধ। আশপাশের প্রতিবেশীরা ভালো নেই।

ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে এখন খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের। সরকারি সহায়তাও যে জোটেনি, এতটুকু বলার সাধ্যও নেই বাকপ্রতিবন্ধী দুলালের। তবে ইশারা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন, কিছুই জোটেনি এখনো।

কেন জোটেনি- জানতে চাওয়া হয় ওই এলাকার ইউপি সদস্য ইলিয়াস রায়হানের কাছে। তিনি বলেন, ‘নাম দিয়েছি তালিকায়, হয়তো শিঘ্রই তার ব্যবস্থা হবে।’

তাজেনূর ও দুলাল

বদরখালীর বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘এনাদের অবস্থা এতই করুণ যে তাকানো যায় না। ঘর বলতে একটুখানি কুটির, তাও ভাঙাচোরা। গৃহহীন কত মানুষ ঘর পেয়েছে এমনকি এই ইউনিয়নের দুইজন ইউপি সদস্য সরকারি বরাদ্দের ত্রাণের পাকা বাড়ি পেয়েছে , কিন্ত দুলাল-তাজেনুরদের কোনো গতি হয়নি। হয়ত এরা দু’জন মানুষের তালিকায়ই নেই।’

এ বিষয়ে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস আহমেদ স্বপন শরীফ বলেন, ‘তাজেনুর ও দুলাল এর আগে এলাকায় ছিল না। সম্প্রতি তারা বাবার রেখে যাওয়া ভিটেয় বসবাস শুরু করেছে। যে কারণে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা হয়নি। অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই দুজন যাতে নিয়মানুযায়ী সরকারি সহায়তা পান, সে ব্যাপারে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তার বলেন, ‘ওনাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *