চাল আত্মসাত : ধরা খেয়ে চেয়ারম্যান বললেন ‘ভুল হয়েছে’

বরগুনার পাথরঘাটায় ইলিশ সুরক্ষায় মাছ ধরা বন্ধ রাখা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগে কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নৌবাহিনী ও বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে আটক করে। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, সরকার প্রতিবছর ১ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সাগরে চার মাসের জন্য ইলিশ সুরক্ষায় ঝাটকা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই সময়ে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে না পাড়ায় তাদের সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এ কারণে নিবন্ধিত প্রতি জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয় সরকার। এ বছর করোনা প্রতিরোধে সকল মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় গত ১ এপ্রিল থেকে জেলেদের এক সঙ্গে ২ মাসের ৮০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু করেছে। কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু তার এলাকার সাড়ে পাঁচশ জেলের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৪৪ মেট্রিক টন চাল পাথরঘাটা খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে আনেন। মেম্বরদের না জানিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে তার একান্ত কিছু জেলেদের মধ্যে ১৪ মোট্রিকটন চাল বিতরণ করে ৩০ মোট্রিকটন আত্মসাত করেন।

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে শক্রবার ইউপি সদস্যসহ জেলেরা তার কাছে আসলে ইউএনওকে নিয়ে কাকচিড়া পরিষদে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পান। পরে বিষয়টি জেলা প্রসাশকসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে চেয়াম্যানকে আটক করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির জানান, এর আগেও এই ইউপি চেয়ারম্যান এ ধরনে অপরাধ করেছেন। পরে নেতাদের অনুরোধে বারবার ছাড় পেয়ে গেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চাল আত্মসাতের বিচার করার জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।

এবিষয় কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, আমার ভুল হয়েছে, এ ধরনের অন্যায় আর কখনো করব না। আমাকে ক্ষমা করে দিন। আগামী ২ দিনের মধ্যে আমি সকল চাল ফেরত দেব।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সূত্র : সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *