বরগুনার জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ

বরগুনার জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছেন বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুল আলীম লিটন ও নেতারা।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সারা দেশে সরকার ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। বরগুনা সদর উপজেলার ১০৪টি নতুন স্কুলের ৩৯৭ জন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন মেয়াদের বকেয়া টাইম স্কেল প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরগুনা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারি সব নীতিমালা অনুসরণ করে বরগুনা জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে কাগজপত্র জমা দেয়। ওই সময় জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির আবদুল আলীম লিটন বলেন, জেলা জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ শিক্ষকদের বকেয়া টাইম স্কেল ও ভাতাদি যথা সময়ে না দেয়ায় ৬ জুলাই তাকে এক লাখ টাকা ঘুষ দেয়া হয়। জেলার ৫টি উপজেলার সব শিক্ষকরা গত মাসে তাদের প্রাপ্য টাইম স্কেল ও বিভিন্ন ভাতাদি উত্তোলন করেছেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, সোমবার সকালে বরগুনা জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজের কাছে গেলে তিনি আরও ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ সময় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওই জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, আমি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর লোক। আমি কারও ভয় করি না।

এ ব্যাপারে জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আমি কোন নির্দেশনা পাইনি। অন্য পাঁচটি উপজেলায় কীভাবে শিক্ষকরা বকেয়া টাইম স্কেল ও ভাতাদি পেয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা অফিসগুলো ভুল করেছে।

সূত্র : যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *