বরগুনায় অপহৃত কিশোরীকে ১৩দিন পর উদ্ধার

বরগুনা অনলাইন : বরগুনার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করছে আমতলী থানা পুলিশ। অপহরণকারী মিরাজ হাওলাদারের আত্মীয় আমতলি উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়। বুধবার অপহৃতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে বরগুনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। ওই ছাত্রীকে একই উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের শহীদুল হাওলাদারের বখাটে ছেলে মিরাজ হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু বখাটে মিরাজের কথায় কর্ণপাত করেনি ওই ছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয় মিরাজ। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ওই ছাত্রী গ্রামের বাড়ি আমতলীর মানিকঝুড়িতে আসে। গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়িতে মায়ের সাথে কাজ করছিল। এমন মুহূর্তে মিরাজ হাওলাদার দুটি মোটরসাইকেলে এসে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। কন্যার ডাক চিৎকারে মাসহ স্বজনরা এগিয়ে আসলেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। ওই সময় বাবা বাড়িতে ছিল না। মেয়েকে তুলে নেয়ার খবর পেয়ে বাবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে কন্যার বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে মিরাজ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৪ জনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অপহৃতাকে অপহরণকারী মিরাজ হাওলাদারের আত্মীয় উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাড়িতে থাকা অপহরণকারী মিরাজ ও জামালের পরিবার সদস্যরা পালিয়ে গেছে। বুধবার ওই অপহৃতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্কুলছাত্রীর অসুস্থ বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের অপহরণকারী বখাটে মিরাজ হাওলাদারের শাস্তি দাবি করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহেল রানা বলেন, স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত মিরাজ হাওলাদারসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

দৈনিক শিক্ষাডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *