বরগুনায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে

কোভিড ১৯

বরগুনা অনলাইন : বরগুনায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ  হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ মোট ৩২ জন করোনাায় আক্রান্ত হয়েছে। রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হলো ২২০ জন।

শনাক্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার ১০৩ জন, আমতলী উপজেলার ৩৪ জন, বামনা উপজেলার ২৭ জন, বেতাগী উপজেলার ২২ জন, পাথরঘাটা উপজেলার ২১ জন এবং তালতলী উপজেলার ১৩ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ১১৭ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন এবং দুইজন মারা গেছেন।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহিন খান জানিয়েছেন, বরগুনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন নারী ও ২৯ জন পুরুষ রোগী রয়েছেন।

এ পর্যন্ত জেলায় মোট দুই হাজার ৪৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই হাজার ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনায় ৫জন রোগী করোনামুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার ডিকেপি সড়কের আনসার উদ্দীন (৫৬), আমতলী উপজেলার মোসা. জাহানারা বেগম (৪২), মো. ইলিয়াস (৩৫) ও মোসা. তানিয়া (৩০) এবং বামনা উপজেলার মো. হারুন খান (৩০)। রোববার দুপুরে তাদের করোনামুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত বরগুনায় মোট ১১৭ জন রোগী চিকিৎসা শেষে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার ৫৯ জন, বামনা উপজেলার ১৬ জন, আমতলী উপজেলার ২১ জন, পাথরঘাটা উপজেলার নয়জন, বেতাগী উপজেলার সাতজন এবং তালতলী উপজেলার পাঁচজন রোগী রয়েছেন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বরগুনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন। এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৫৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৫৭১ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকি ২২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়া, বরগুনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন দুই হাজার ১২০ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৯০৩ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকি ২১৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাছাড়া, ২১ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এবং ৮০ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

বরগুনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ৯ এপ্রিল। ওই দিন জেলার আমতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জি এম দেলোয়ার হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে ১৭ এপ্রিল। সেদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের বৃদ্ধ খলিলুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *