ভালোবাসা দিয়ে করোনা জয়!

কোভিড ১৯

গোলাম কিবরিয়া : উপকূলের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্বামী মো. হাবিবুর রহমান ভুঁইয়ার সঙ্গে ১৭ দিন থেকেও স্ত্রী রোজিনা বেগম করোনা ভাইরাস মুক্ত। এরকমের একটি ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে। এ ঘটনায় হতবাক হয়েছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকারা।

জানা যায়, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক মো. হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ১৬ এপ্রিল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। গত ১৮ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়। ২১ এপ্রিল তার নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। তাতে জানা যায় হাবিবুর রহমান করোনায় আক্রান্ত। ওই সময় থেকেই তিনি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে নিজের জীবনের দিকে না তাকিয়ে আমতলী হাসপাতালের আইসোলেশন কক্ষেই স্বামীর পাশে একই বিছানায় থেকে তার সেবা করতে থাকেন। চিকিৎসকদের বাঁধা থাকলেও তিনি তা মানেননি।

এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ত্রী রোজিনার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। কিন্তু তার প্রতিবেদনে তিনি করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় স্বামী ও তার নমুনা প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে।

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক শংকর প্রসাদ অধিকারী তাকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ছেড়ে দেন। এই প্রথম আমতলী উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আল্লার ওপর ভরসা রেখে স্বামীর সেবা করেছি। আমার কিছু হয়নি।

করোনা ভাইরাসে জয়ী হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আল্লায় বাঁচাইছে। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। ডাক্তার ও নার্সদের সেবার পাশাপাশি আমার স্ত্রীর আমার পাশে থেকে সার্বক্ষণিক আমার সেবা করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী-ও তার সঙ্গে আইসোলেশনে ছিল। স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় থেকেও স্ত্রী করোনা মুক্ত। এটা আশ্চর্যের বিষয়। তিনি আরও বলেন, হয়তোবা তার স্ত্রীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাই এমনটা হয়েছে।

আরো পড়ুন :

দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে..

পিচ্চি একটা মেয়ে। আমার প্রতি তার আলাদা কোনো দুর্বলতা ছিল…..

‘অনাগত সন্তানটা বাবার মুখটাও দেখতে পারল না’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *