মেয়েকে গাছে বেধে মাকে গণধর্ষণ : ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত মিলেছে

গোলাম কিবরিয়া : বরগুনায় গণধর্ষণের শিকার সেই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা: সোহরাব হোসেন।

ওই গণধর্ষনের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে একজন র‌্যাবের কাছে ওই গৃহবধূ গণধর্ষিতা হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তালতলী থানা পুলিশ মামলা নিয়েছে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা।

জানা গেছে, ২২ এপ্রিল তালতলীর শুভসন্ধ্যা এলাকায় মেয়েকে গাছে বেধে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে কিছু দুর্বৃত্ত। এক সপ্তাহ পর ওই গৃহবধু থানায় এলে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেয় পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করায় পুলিশ।

এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব হোসেন জানান, গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রথমে অভিযানে নামে র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ও বরগুনা কোম্পানি। বরগুনা সদর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় জহিরুল আকন নামের একজনকে। র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রইছ উদ্দিন বলেন, জহিরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানায়। তবে সে ধর্ষণ করেনি। তার সহযোগীসহ চারজন গণধর্ষণ করেছে।

নির্যাতিত এ গৃহবধু বলেন, পুলিশ তাকে চাপ সৃষ্টি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিতে বাধ্য করেছিল।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি বলেন, এরই মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামি নজরুল ও এমাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও দু’জন পলাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *