অল্প সময়ে জনপ্রিয় সোনাকাটা ইকোপার্ক, সংস্কারের অভাবে ভোগান্তি বিভাগঃ তালতলী, দর্শনীয় স্থান আগস্ট ১২, ২০১৬; ৮:৫৬ অপরাহ্ণ 1,188 বার দেখা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা সল্প সময়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বরগুনার সোনাকাটা ইকো-ট্যুরিজম। পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করলেও দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা রাস্তা ও ব্রিজগুলো সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন দর্শনার্থীরা। প্রশাসন জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালায়ের সহায়তায় শিগগিরই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। সোনাকাটা ইকো-ট্যুরিজম। দূর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক যেখানে ছুটে আসেন প্রতিদিন। বনের মধ্যে ছোট্ট রাস্তা ধরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে হারিয়ে যান গভীর অরন্যে। কিছুদূর গেলেই রাস্তার পাশে বেষ্টনির মধ্যে মায়াবী চিত্রা হরিণ, মেছো বাঘ, আর কুমির -পর্যটকদের আনন্দ বাড়িয়ে তোলে বহুগুন। আর গাছে গাছে দেখা যায় কাঠবিড়ালীর লুকোচুরি। কিন্তু এসব সৌন্দর্য উপভোগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বনের মধ্যে ছোট খালের উপর নির্মিত ব্রিজগুলো। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কাঠের পাটাতন ভেঙে গেছে। আর রাস্তাগুলোও ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। ফলে পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা ঝুঁকি নিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আবার অনেকে হতাশা নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। আরো পড়ুন : তালতলীতে মাহিন্দ্র উল্টে নিহত ১,আহত ৫ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। এখান থেকে সমুদ্র সৈকত, ম্যানগ্রোভ বন ও বিভিন্ন বন্য প্রাণী দেখার সুযোগ থাকায় ৩ বছরের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রটি। স্থানীয় চেয়ারম্যান ফরাজি মো: ইউনূস বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ আসনে নির্বাচন করেছেন। সে হিসেবে এ উপজেলাটি তার বলেই আমরা মনে করি। কিন্তু এ উপজেলায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে না। পর্যটন কেন্দ্রটি অতিদ্রুত সংস্কার করা হোক এ প্রত্যাশা আমাদের তালতলীবাসীর। ওই এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার। তিনি বলেন- প্রতিদিন এখানে হাজারো দর্শনার্থী আসলেও তারা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। তেমনি ইকোপার্কটির রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় তারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মুহাঃ বশিরুল আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, পর্যটকদের ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আরো পড়ুন : মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শিশুকে বলাৎকারশেয়ার করতে আইকনে ক্লিক করুনTweetWhatsAppPrint ২০১৬-০৮-১২ Barguna Online