গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক : বরগুনার আমতলী-তালতলী সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী-তালতলীর ফকিরহাট পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমতলী-তালতলীর অন্তত অর্ধলক্ষ লোক যাতায়াত করে থাকে। এই সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। ২০-৩০ গজ দুরত্বে রয়েছে বড় বড় গর্ত খানা-খন্দ। খানা-খন্দের কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই খানাখন্দ সড়ক দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে। ওই সড়ক সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এমনটাই আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী ও সড়কে চলাচলকারী গাড়ির চালকরা।
এদিকে ২০১৮ সালে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার থেকে তারিকাটা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সড়ক সংস্কারের এক বছরের মাথায় ওই সড়কে খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলামের গাফলতিতে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় সড়ক এক বছরের মাথায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ব্রিজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক। ওই সড়কের প্রতি ২০-৩০ গজ দুরত্বে রয়েছে বড় বড় খানা-খন্দ। খানা-খন্দ দিয়ে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের ইট-পাথরের সুরকি বের হয়ে মাটি উঠে গেছে। খানা-খন্দের গর্তে গাড়ির চাকা ফেঁসে যাচ্ছে। কাঁদা মাটিতে মিশে সড়ক একাকার হয়ে গেছে।
তারিকাটা এলাকার মোতালেব মিয়া, নশা হাওলাদার, মোশাররফ হোসেন, কবির উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম ও বাহাদার বলেন, গত দু’বছর ধরে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন দেখেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তারা আরও বলেন, দ্রুত এ সড়ক সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন মিস্ত্রি, বাকী বিল্লাহ ও জাফর বিশ্বাস বলেন, এটা সড়ক নয় যেন খাল। সড়ক দিয়ে গাড়ি ও মানুষ চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাই।
বাসচালক মজিবুর রহমান, শানু হাওলাদার ও আবদুস সালাম জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মনোরায়ারুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীতে নতুন যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নিয়ে সড়ক সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।