গোলাম কিবরিয়া, বার্তা সম্পাদক : বরগুনার তালতলীতে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে একযোগে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে প্রায় ১ লাখ মানুষ মানববন্ধন করেছে। একই সাথে গণস্বাক্ষর উঠিয়ে পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর।
সোমবার(১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বহু মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে এ মানব-বন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহন করেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমতলী-তালতলী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে প্রতিশ্রুতি দেন তালতলী থানাকে উপজেলায় রুপান্তিত করবেন। কিন্তু তখনকার সময় সরকার গঠন করতে না পারায় পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসেই তালতলীকে উপজেলা ঘোষণা করেন। এর পরে ২০১২ সালের প্রথম দিকে তালতলীকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় রূপান্তিত হয়। সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) হয়নি। এতে এ উপজেলার প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা নিতে হলে ৩০ কিলোমিটার সড়ক পথে গিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীতে যেতে হয়। কোনোমতে ২০ বেডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ সামগ্রী, অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় খোলা হচ্ছে না ইনডোর ও আউটডোর। এদিকে তালতলী উপজেলার ৮ বছরে পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল চালুর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে ঘুরেও লাভ হয়নি।
এতে ফুসে উঠেছে তালতলীর সর্বস্তরের মানুষ। পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে গত ১ মাস পযর্ন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমগুলোতে পোস্ট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের দাবি জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল চেয়ে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১০টি স্থানে এক যোগে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে বৃষ্টিতে ভিজে মানবন্ধন করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বরাবর গণস্বাক্ষর পাঠানো হয় ।
তালতলী সদর,পচাঁকোড়ালিয়া বাজার,ছোটবগী, কচুপাত্রা, লাউপাড়া, কড়ইবাড়িয়া, ফকিরহাট, বারঘর, শানুর বাজার, নিদ্রা বাজারসহ উপজেলার ১০টি স্থানে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।