বরগুনায় পাঠদান চলাকালে আবারো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার ১৬ নং মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে শিক্ষার্থীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শামীমা নিপা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যে শ্রেণিতে ছাদের একাংশ ধসের ঘটনা ঘটছে ওই শ্রেণিতে প্রাকপ্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল। যেই স্থানে ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে সেই স্থানে রিফাত নামের এক শিক্ষার্থী বসা ছিল। রিফাত ইউনিফর্ম পরে না আসার কারণে তাকে আমি ইউনিফর্ম পরতে বাসায় পাঠাই। রিফাত ওই স্থান থেকে উঠে যাওয়ার এক থেকে দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করি।
এই দুই বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে কোনো সংস্কার হয়নি। এমনকি ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া এবং এ ভবনের ছবিসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেননি বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে বরগুনার সদর উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভবনটির যে যে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, সে স্থানের পলেস্তারা ফেলে দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলীর ৫ নং পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মানসুরা (৮) নিহত হয়। আহত হয় একই শ্রেণির আরো চার শিক্ষার্থী। নিহত মানসুরার বাবার নাম মো. নজির হোসেন তালুকদার। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মানসুরা ছোট। এ ঘটনায় আহতরা হলো সাদিয়া আক্তার, রুমা, ইসমাইল এবং শাহিন। তারা সবাই তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।