বরগুনায় ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাধ, তীরবর্তী বাসিন্দারা আতংকিত বিভাগঃ আমার বরগুনা মে ১৯, ২০২০; ৩:২১ অপরাহ্ণ 451 বার দেখা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক : করোনা মহামারীর মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এমন দুর্যোগে উপকূলীয় বরগুনার নদী তীরবর্তী বেরিবাধের বাইরের এলাকার বাসিন্দারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জেলার সাড়ে ৯শ’ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফণী ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সাড়ে পাঁচ শ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সব বাঁধ এখনও সম্পূর্ণ মেরামত হয়নি। এসব বাঁধ সম্পূর্ণ মেরামত না হতেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আবারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় আমফানের আগমনী বার্তায় আতঙ্কে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ২২টি পোল্ডারে ৯৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বাঁধের নিকটবর্তী বাসিন্দারা ঝড়ের পূর্বাভাসেই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আরো পড়ুন : আমফান : বরগুনায় মাইকিং হলেও ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষণ নেইবরগুনা বদরখালী এলাকার বাসিন্দা মিরাজ খান বলেন, বুলবুলের তান্ডবে (২০১৯ এর নভেম্বর) বদরখালী ও নলটোনা এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নড়বড়ে হয়ে যায়। অনেক ধর্ণা ধরে দুই কিলোমিটারের সংস্কার সম্ভব হয়েছে। কিন্ত বাকি এলাকা এখনো অরক্ষিত। বিশেষ করে সদরের নলটোনা, এম বালিয়াতলি, বদরখালি ও বুড়িরচর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা, আতমলী, তালতলি, বামনা ও বেতাগী উপজেলার নদী তীরবর্তি বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সব সময়ই আতংকিত থাকেন। সিপিবি বরগুনা সদর উপজেলার টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, বরগুনার উপকূলীয় বাসিন্দাদের তূলনায় আশ্রয় কেন্দ্রর সংখ্যা অনেক কম। আমরা বছরের পর বছর ধরে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও এখনো পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। জেলায় ছয় শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হলেও স্বাস্থবিধি বজায় রাখার বিষয়টি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আরো পড়ুন : বরগুনায় চিকিৎসক ও নার্সদের ঈদ হচ্ছে আইসোলেশনেএ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার হোসেন বলেন, বরগুনার ক্ষতিগ্রস্থ্য বেরিবাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করা জরুরি। তবে আমরা কিছু কিছু এলাকার বাঁধ নির্মাণ সংষ্কার করছি। বাকিগুলো সংস্কারের চেষ্টা চলছে। শেয়ার করতে আইকনে ক্লিক করুনTweetWhatsAppPrint ২০২০-০৫-১৯ bakibillah