বরগুনা অনলাইন : বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলায় সাত নার্সসহ নয়জন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহত হন কর্তব্যরত নার্স নাজমুন নাহার, সুইটি খানম, রিনা, সীমা, ওর্য়াডবয় মো. রাজু ও আবু মঈন। গুরুতর অবস্থায় তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার চেতনানাশক ওষুধ খেয়ে অচেতন অবস্থায় মাইনুল ইসলাম মঈন নামের এক রোগীকে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার জন্য গ্লুকোজ স্যালাইন দেওয়া হয়। স্যালাইনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগ এনে নার্সদের ডেকে নিয়ে গালাগাল করে। একপর্যায় মইনুলের বন্ধুরা ওয়ার্ডবয় রাজুর ওপর হামলা করলে তিনি দৌড়ে কর্তব্যরত নার্সদের রুমে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা নার্সদের রুমে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি চড় ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এ সময় রুমে থাকা সাত-আটজন নার্স ও ওয়ার্ডবয় রাজু, মঈন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও ওয়ার্ডবয় দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিচারের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা কর্তব্যরত নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের ওপরে হামলা করে।
তিনি আরো বলেন, রোগীর ব্যবহৃত স্যালাইন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়নি। কোথা থেকে এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তা বলতে পারি না। এ বিষয়ে বরগুনা থানায় মামলা করা হয়েছে।