বামনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৃত প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বামনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৃত প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

গোলাম কিবরিয়া, বার্তা সম্পাদক : বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মৃত এক প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রবাসীর স্ত্রী রুমা বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। রোববার দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রুমার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানুর বেগম, প্রতিবন্ধি ছেলে ইব্রাহীম, রুমার মামা জাহাঙ্গীর আলম ও শাহিন।

লিখিত বক্তব্যে রুমা বেগম বলেন, আমার স্বামী মাে. কালাম জোমাদ্দার ওমানে লেবার পদে কাজ করার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৭ সালে মৃত্যু বরণ করে। এই ঘটনায় ওই দেশে একটি মামলা হয়। মামলায় আসামিপক্ষ অব্যাহতি পাওয়ার আপােসের শর্তে কোর্টে আবেদন করেন। কোর্ট বাংলাদেশি ত্রিশ লাখ টাকা জরিমানা করে গাড়ির মালিককে।
ওই টাকার মূল দাবিদার আমি, আমার ছেলে মােঃ ইব্রাহিম এবং শাশুড়ি মরিয়ম। ওমানে মামলা পরিচালনা করেন আমার শাশুড়ির ভগ্নিপতি স্বপন। আমার শাশুড়িকে বিষয়টি স্বপন জানান। আমার শাশুড়ি, স্বপন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ষড়যন্ত্র করে ওমানে আসামিদের কাছে তথ্য দেয় মৃত কালামের স্ত্রী রুমা পুত্র সন্তান নিয়ে অন্যত্র বিয়ে বসেছে। অথচ আমি বিয়ে করিনি।
আমার শাশুড়ি স্বপনের মাধ্যমে আসামিদের জানায় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের একাউন্টে টাকা দিলে আমি পাব। ওমান থেকে ৩০ লাখ টাকা চেয়ারম্যানের একাউন্টে আসে। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তৎকালীন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বামনা থানার ওসির নিকট টাকার কথা স্বীকার করেন।
রুমা বলেন, ওমানে মামলা পরিচালনাকারী স্বপন পুলিশের নিকট জবানবন্দি দিয়েছেন ৩০ লাখ টাকা পেয়ে আমি লাশ দেশে আনাসহ বিভিন্ন খাতে খরচ বাদে ১৭ লাখ টাকা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের একাউন্টে দেই। ওই টাকা চেয়ারম্যান বরগুনা ইসলামী ব্যাংকে জমা রাখেন।
রুমা বলেন, চেয়ারম্যান আমার শাশুড়ি মরিয়মকে কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমার শাশুড়ি ওয়ারিশ হিসাবে পাবেন তিন লাখ টাকা। চেয়ারম্যান সেই তিন লাখ টাকা তাকে দিতে পারেন। বাকি ১৪ লাখ টাকার মালিক আমি ও আমার সন্তান।

রুমার বাবা বলেন, আমি রিক্সা চালিয়ে মেয়ে-নাতির পেটে ভাত দিই। চেয়ারম্যানের কাছে টাকা চাইলে তিনি পিস্তত বের করে আমাকে গুলি করতে চায়। আমরা ডিসি এসপির কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমরা গরীব মানুষ। আমরা খেতে পরতে পারি না। আমার মেয়ে টাকা পেলে প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে কোন রকম বাঁচতে পারবে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে (০১৭৭৪৯৫৪৬৫৪) নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *