বরগুনা অনলাইন : করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই দেশে আজ পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। মসজিদগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের নামাজ।
তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের আয়োজন ভিন্ন। ভেদাভেদ ভুলে ঈদের জামাতের পর কোলাকুলি আর স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির রেওয়াজ থাকলেও এবছর থাকছে না তেমন কোন আয়োজন। খবর বিবিসির
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদের নামাজে ৩ ফুট দূরত্ব রাখার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা আসে কোলাকুলি করার ক্ষেত্রেও। ঈদ হলেও সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর এবং আশেপাশের এলাকাগুলোর বেশ কয়েকটি মসজিদে দেখা যায় যে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তায় বসে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। কাউকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি। প্রায় সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন।
তবে একটি জামাত শেষে অন্য আরেকটি জামাতের জন্য মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের হওয়া এবং প্রবেশের সময় বেশ ভিড় তৈরি হতে দেখা গেছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায়, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে ঘরে থেকে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান। সাথে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এ বছর আমরা সশরীরে পরস্পরের সাথে মিলিত হতে বা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে না পারলেও টেলিফোন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেব”।
এর আগে ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেসব নির্দেশনা মানার পরামর্শ দেয় সেগুলো হচ্ছে,-
• সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
• কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে অংশ নিতে হবে
• ঈদের কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে
• ঈদের আনন্দ উচ্ছলতার কারণে শিশুরা যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
• অবশ্যই শিশুসহ সবাইকে নিয়মিত মুখে মাস্ক পড়তে হবে
• বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে
• বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না
• নিজের হাতের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। অযথা নাক-মুখ-চোখে হাত দেয়া যাবে না। শিশুদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।
• যারা এরই মধ্যে আক্রান্ত তাদেরকে আইসোলেশনের নিয়ম পালন করতে হবে।
• পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পানি ও তরল খাবার বেশি খেতে হবে।
• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা ও টাটকা শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
• জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাংস, কুমড়ো ও লাউয়ের বীজ, মাশরুম, রসুন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেতে হবে।
• হালকা ব্যায়াম করতে হবে।