বরগুনা অনলাইন : করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। শনিবার করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সবাই মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করবেন। করোনায় বয়স্ক ব্যক্তিরা বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকায় ৬০ বছরের বেশি বয়সীরাও মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে। বাসায় তৈরি তিন স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করা যাবে। এগুলো একবার ব্যবহার করার পরে সাবান দিয়ে ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করবেন। যাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে, তাদেরও মেডিকেল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘তবে করোনা প্রতিরোধে এটি একক কোনো পদ্ধতি না। পাশাপাশি বারবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক, সাবান, তিন ফুট দূরত্ব– এই তিনটি বিষয় মিলেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে। সেজন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা যেন এই স্বাস্থ্য নিয়মগুলো সঠিকভাবে পালন করি ও মেনে চলি। নিজেদের সুরক্ষিত রাখি, পরিবারের সব সদস্যকে সুরক্ষিত রাখি।’
তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে যুক্ত হয়েছে আরও একটি পিসিআর ল্যাব। সেটি স্থাপন করা হয়েছে বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রাফাত উল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩টি পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ‘আগের ল্যাবগুলোর মধ্যে কারিগরি ত্রুটির জন্য কক্সবাজারের ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবের কারগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ আছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ল্যাব রিফ্রেশের জন্য গতকাল পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল।’