বামনায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

বামনা

বরগুনা অনলাইন : বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নে ছোনবুনিয়া গ্রাম থেকে মো. আল-আমীন (২৫) নামে এক যুবকের অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করছে বামনা থানা পুলিশ। সে একই গ্রামের প্রবাসী আ. খালেক এর একমাত্র ছেলে। তিনি দুইদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে মো. রশিদ খানের বাগানে একটি পেয়ারা গাছের সাথে তার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানালে বামনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন রুমা বেগম বাদী হয়ে আজ দুপুর ১টার দিকে বামনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায় পুলিশ। তবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে বামনা উপজেলাব্যাপী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয়রা জানায়, আল-আমীন আটমাস পূর্বে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করে। এ বিয়ে তার মা ও বোনেরা মেনে নেয়নি। প্রতিদিন ওই স্ত্রীকে তার পরিবারের লোকেরা নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে গত তিন মাস পূর্বে আল-আমীনের স্ত্রী কুলসুম বেগম এ বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আল-আমীন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে মা ও বোনকে অনুরোধ করে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তার বোন ও মায়ের সাথে বিবাদ চলছিল। একপর্যায়ে সে গত বুধবার বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। দুই দিন পরিবারের লোকজন তার কোনো খোঁজ নেয়নি। পরে আজ সকালে আল আমীনের মরদেহ বাগানে ঝুলে থাকতে দেখতে পায় এলাকাবাসীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যে পেয়ারা গাছটিতে আলামিনের অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে সহজে কোনো মানুষ গলায় ফাঁস দিলে মারা যায় না। তার পা দুটো সম্পূর্ন মাটিতে ভাজ করা ছিলো।

নিহত আল-আমীনের বোন রুমা বেগম জানায়, আমার ভাই কেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তবে তার স্ত্রী চলে যাওয়ায় হয়তো সে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *