তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বরগুনার তালতলী উপজেলার বড় অংকুজানপাড়া এলাকায় গত শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা এক যুবককে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর তাঁর ডান পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত যুবকের নাম রুবেল হোসেন (২৫)। তিনি তালতলীতে আসবাবপত্র তৈরি ও বিক্রির একটি দোকানে কাজ করেন। তাঁর বাড়ি অংকুজানপাড়া গ্রামে। বাবার নাম শাহ আলম।
রুবেলের পরিবার ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি দোকানে চা পান করতে গেলে তাঁর হাতে লেগে গ্লাস থেকে পানি পড়ে যায়। একই এলাকার খায়রুল ইসলাম (৩০) নামের অপর এক যুবকের গায়ে সেই পানি পড়লে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার রাতে একই এলাকার মাহবুব মিয়া রুবেলকে ডেকে বড় অংকুজানপাড়া এলাকার খোট্টারচরে নিয়ে যান। সেখানে থাকা খায়রুল তাঁর সহযোগী মিরাজ, ইলিয়াস, মন্টু, গিয়াস, হালিমসহ ১০-১২ জন মিলে লোহার রড দিয়ে রুবেলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রুবেলের মাথা ও হাত জখম করার পর ডান পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রুবেলকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা বাবু মংফু জানান, রুবেলের ডান পায়ের পেছনের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
রুবেলের বাবা শাহ আলম জানান, যাঁরা তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মাদকসেবী ও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ছেলের চিকিৎসার জন্য তিনি বরিশালে অবস্থান করায় এখনো মামলা করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে খায়রুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতার বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।