জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তিনজন করোনাক্রান্ত রোগীসহ প্রায় ২৩ জন করোনা উপসর্গ রোগীর একমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এ তরুণ চিকিৎসকসহ একাধিক চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ড ইনচার্জ, নার্স এবং ক্লিনার মিলিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন এন ৯৫ মাস্ক ছাড়াই।
এ বিষয়ে ডা. আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের স্পস্ট গাইডলাইন রয়েছে যে, যারা করোনা রোগীর সেবায় যাবেন বা নমুনা সংগ্রহ করবেন তাদের অবশ্যই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অথচ আমাদের কাছে কোনো এন-৯৫ মাস্কই ছিল না। বরগুনা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী কোনো রকম সার্জিক্যাল মাস্ক পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নমুনা সংগ্রহসহ করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন যা ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ।
ডা. আজাদ মশিউর রহমান সিহাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ মুহূর্তে তিনি যে কাজটি করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এভাবে সকল নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দিন খান বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জাম এন-৯৫ মাস্ক এখনও পর্যন্ত আমারা পাইনি। তিনিও মশিউর রহমান সিহাবকে ধন্যবাদ জানান সংকটময় এ মুহূর্তে এন-৯৫ মাস্ক পাঠিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তরুণ ব্যবসায়ী মশিউর রহমান সিহাব বলেন, এন-৯৫ মাস্ক এখন মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের এ দুঃসময়ে অতিগুরুত্বপূর্ণ এই চিকিৎসা সামগ্রী নিয়েও সিন্ডিকেট বাণিজ্য করছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে রি-ইউজেবল ১০০টি মাস্ক পেয়েছি যা প্রায় দিগুন দামে কিনতে হয়েছে। এসব মাস্ক কেনার সাথে সাথেই তা বিশেষ ব্যবস্থায় বরগুনা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আশা করি এসব মাস্ক দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট তাদের কার্যক্রম ভালোভাবেই চালিয়ে যেতে পারবে।
জাগো নিউজ