নিহত সবুজ ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তেন। করোনার কারণে কয়েকদিন আগে বাড়ি এসেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ফারুক পহলানের ছেলে।
আহতদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- ইউসুফ (৪০), আব্দুল বারেক (৫০), আবুল কালাম (৬৫), আলমগীর (৪০), শাহাবির (২৫), গোলাম রসুল (৪৫), রুবেল (২৫), বেলায়েত হোসেন (২১) ও সরোয়ার পহলান (৪৫)। এদের মধ্যে সরোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য রাজার সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খানের বিরোধ চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ভোগ গ্রামের অতুল হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে স্বপন খানের লোকজন জুয়ার আসর বসায়। এ সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য আবদুস সালাম বিষয়টি বরগুনা থানা পুলিশকে জানান। বরগুনা থানার এসআই হেলালের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাজা পহলান (৩২), বাসুদেব (৩৭), হাবিল (২২) ও মামুন মোল্লাকে (২৪) ধরে বরগুনা ইউএনও অফিসে নিয়ে আসেন।
একই দিন বিকাল চারটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করোনায় ঘরে থাকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আড্ডা দেওয়ার অভিযোগে তাদের সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনার জেরে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্বপন খানের প্রায় ২০-২৫ জন সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রায়ভোগ বাজারে এসে ইউপি সদস্য রাজুর সমর্থকদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এ সময় রাজুর গ্রুপের লোকজন স্বপন খানের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫-১৬ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের হাসপতালে নিয়ে যান। হাসপতালে আসার পথে সাইফুল ইসলাম সবুজ মারা যান। আহতদের মধ্যে সাত জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সরোয়ারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে।