বরগুনা জেলার নামকরণ যেভাবে

বরগুনা জেলার নামকরণ যেভাবে

সাগর উপকূলীয় জেলা বরগুনা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ভূমি। এখানে প্রকৃতির অপার লীলা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত যেমন মন কাড়ে, তেমনই সবুজ সমারোহের মাঝে হরিণের চারণভূমি হিসেবে সুনাম আছে বরগুনার। মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ এই জেলা।

দেশের সর্বদক্ষিণের নদীবেষ্টিত জেলা বরগুনার আদিবাহন নৌকা। পায়রা-বিষখালী বিধৌত বরগুনায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। বন ও নদী এই জেলাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করেছে।

বরগুনা নামকরণ প্রসঙ্গে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকূল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য অপেক্ষা করতেন। সেজন্য এই স্থানের নাম হয় ‘বড় গোনা’। সেখান থেকেই ‘বরগুনা’ নামের উৎপত্তি।

কারও মতে, স্রোতের বিপরীতে গুন (দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করাতে হতো বলে এমন নামকরণ। কেউ কেউ বলেন, ‘বরগুনা’ নামক কোনও প্রভাবশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে জেলার নাম রাখা হয়েছে। আবার কারও মতে, ‘বরগুনা’ নামক কোনও এক বাওয়ালীর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ হয়।

বরগুনার দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে টেংরাগিরি ইকো পার্ক, রাখাইন পল্লী, পাথরঘাটার হরিণঘাটা, লালদিয়ার চর, সোনাকাটা পর্যটন কেন্দ্র, বিবিচিনি শাহী মসজিদ। এছাড়া পায়রা নদীতে সূর্যোদয় ও ডিসি কার্যালয়ের ইলিশ চত্বর দেখার মতো।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *