গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক : বরগুনার বামনায় ১৪ বছরের এক কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদরের পশ্চিম সফিপুর গ্রামে বুধবার বিকেলে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার পরিবার অসহায় ও দরিদ্র হওয়ায় প্রভাবশালী মহল স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন । এমনকি ধর্ষিতা কিশোরী অসুস্থ থাকলেও তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে না। অপরদিকে অর্থের অভাবে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারও তাকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলা সদরের পশ্চিম সফিপুর গ্রামের সুলতান প্যাদার ছেলে বাবুল প্যাদ্যা ( ৩৮) একই গ্রামের ১৪ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধি কিশোরীকে বসত ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের সময় কিশোরীর গোপন অঙ্গ ফেটে গেছে। এসময় ধর্ষিতা কিশোরীর ডাক-চিতকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ধর্ষক বাবুল প্যাদা পালিয়ে যায়। বর্তমানে ধর্ষিতা কিশোরী বিছানায় কাতরাচ্ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা জানান, আমি গরীব হওয়ায় এলাকার মোড়লরা আমাকে বিচারে করে দেবে বলেছেন। এছাড়া তারা আমাকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখান। এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে থানায় যেতে দেন না।
তিনি বলেন- আমি বাবুল প্যাদার বিচার চাই। আল্লাহ তুমি বিচার করো গরীব বিধায় আমি আইনের কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।
বাবুল প্যাদার স্ত্রী পারভীন আকতার এসে নিজ হাতে এ ধর্ষণের ঘটনায় স্বামীকে জুতাপেটা করেছেন বলেও এলাকাবাসী জানান।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইলিয়াছ হোসেন তালুকদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।