জহিরুল আলম রুমী, বামনা : বরগুনার বামনা উপজেলার কালিকাবাড়ী গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় একজনকে সোমবার আটক করেছে পুলিশ। আটক অভিযুক্তের নাম হাশেম মলিক।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, রহিমা বেগম (ছদ্মনাম) একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় হাট-বাজারে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালায়। প্রায় ৬ বছর আ কালিকাবাড়ী গ্রামের মোঃ জালাল তাকে ধর্ষণ করলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। বর্তমানে ছেলেটির বয়স ৫ বছর। ওই ঘটনার পর থেকে জালাল পলাতক রয়েছেন।
আরও গেছে- এলাকার লোকজন চাঁদা দিয়ে ওই শিশুকে বাঁচায়। এলাকার লোকজন রহিমা বেগম (ছদ্দনাম) ও তার ছেলেটির কথা ভেবে প্রায় বছর খানের আগে অভিযুক্ত হাশেম মলিকের একটি পরিত্যাক্ত কাঠের ঘরে থাকতে দেয়। কিন্তু হাশেম মালিক বিভিন্ন সময়ে রহিমা বেগমকে ধর্ষণ করে। এতে রহিমা আবারো অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে গর্ভপাত করাতে আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ভিকটিমের ভাই বামনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর, ১০/২০২০। আসামিকে আমি রাতেই আটক করেছি। ভিকটিমকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।