বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বরগুনা পৌর শহরের লাকুরতলা মাছবাজার ব্রিজে নাঈম খান মিঠু (২১) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবির হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
আহত নাঈম খান মিঠু পৌর শহরের লাকুরতলার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বখাটের নাম হিরু। সে একই এলাকার মোকসেদ চৌকিদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বখাটেপনা ছাড়াও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
মোহাম্মদ ইব্রাহিমের অভিযোগ, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমার মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বখাটে ও মাদক ব্যবসায়ী হিরু। তার কারণে আমার মেয়ের মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিই। দাখিল পরীক্ষার কারণে আবার মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠানো শুরু করি। এতে হিরু ফের আমার মেয়েকে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। গত শুক্রবার মিঠু হিরুকে ডেকে এনে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করার কথা বলে। এরপর সোমবার বিকালে হিরুর ভাইয়ের ছেলে শুভ ফোন করে মিঠুকে লাকুরতলা মাছবাজার ব্রিজে যেতে বলে। বিকাল ৫টার দিকে মিঠু সেখানে গেলে হিরু ধারালো রামদা দিয়ে মিঠুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। স্থানীয়রা মিঠুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘মিঠুর মাথা, হাত, পা ও ঊরুসহ অন্তত ৮টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।’
নাট্য প্রশিক্ষক মো. আছাদুল ইসলাম আসাদ জানান, গত শনিবার বিকালে নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে যাওয়ার পথে হিরু নৃত্যশিল্পীদের উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করায় আসাদকে মারধর করে হিরুসহ আরও কয়েকজন বখাটে। এ ঘটনায় আসাদ বরগুনা থানায় একটি অভিযোগ করলেও কাউকে আটক করা হয়নি।
ওসি মোহাম্মদ আবির হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বখাটেদের আটকের চেষ্টা চলছে। মামলার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলা ট্রিবিউন