গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক :
যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত গৃহবধূ তানজিলার বাবা রাজা মিয়া। থানায় মামলা না নেওয়ায় বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার মামলাটি গ্রহন করে বরগুনা থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে।
আসামিরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের আতাহার সিকদারের ছেলে আবুল বাসার, তার বোন সোনিয়া, মা সাজেদা, বাবা আতাহার ও আবুল বাসারের বন্ধু জাহাঙ্গীর।
স্থানীয় সূত্রে যায়, রাজা মিয়ার মেয়ে তানজিলাকে সাত বছর আগে আবুল বাসারের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে আবুল বাসারের পরিবার প্রায়ই তানজিলাকে নির্যাতন করত। ৯ অক্টোবর বিকাল চারটার সময় আবুল বাসা দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তানজিলা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তার স্বামী আবুল বাসার তার তলপেটে লাথি মারে। তানজিলার ডাক চিৎকার দিলে আবুল বাসারের মা বাবা বোনসহ আসামিরা তানজিলাকে বেধড়ক মারপিট করে গলা টিপে ধরে। তানজিলা যখন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করে তখন আবুল বাসার তানজিলার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
রাজা মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে আসামিরা যৌতুকের দাবিতে মারধর করে হত্যা করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তানজিলার মৃত্যু হয়। আসামিরা তানজিলার লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। তানজিলার লাশ ময়না তদন্ত শেষে আমার বাড়িতে দাফন করি। আমি বরগুনা থানায় সোমবার মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা নেয়নি। ওসি বলেন, থানায় অপমৃত্যুু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, রাজা মিয়া থানায় মামলা করতে আসেনি। কেউ মামলা করতে আসলে আমি মামলা নিতাম। আদালতে যখন মামলা করেছে তখন আদালত যে আদেশ দিবে সেভাবে ব্যবস্থা নেব।