ভাগ্য ভালো কেউ বোঝে নাই!!! নইলে… বিভাগঃ মতামত মে ৮, ২০২০; ২:০৮ অপরাহ্ণ 468 বার দেখা হয়েছে ফরহাদ মজহার : আমি শেখ মুজিবর রহমানকে পছন্দ করি কারণ তিনি যা বুঝেছেন তা জনগণকে বোঝাতে পেরেছিলেন এবং তার বোঝাবুঝিকে জাতীয় অভিপ্রায়ে রূপ দিতে পেরেছিলেন। শেখ মুজিব প্রমাণ করেছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে সশস্ত্র বা সহিংস যুদ্ধ নামক কোন গণবিচ্ছিন্ন যুদ্ধ নাই। সমাজে শ্রেণি হিংসা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকলে তা সশস্ত্র রূপ নেবেই। জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করি তিনি রাজনৈতিকতা এবং সৈনিকতার সম্বন্ধ বুঝতেন। তিনি একাত্তরে রেডিওতে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটা শেখ মুজিবের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মেনে নিয়ে। নইলে মুক্তিযুদ্ধ শেখ মুজিবরের অবর্তমানে সংগঠিত কিম্বা সংঘটিত কোনটিই করা যেত না। এখানেই তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা স্পষ্ট ধরা পড়ে। কেউ কেউ বলে, তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে উঠে এসে রাজনীতি করেছেন, এটা ভূয়া প্রচার। তাঁর উত্থান সৈনিক ও জনগণের মৈত্রীর মধ্য দিয়ে। কোন জাতীয় রাজনৈতিক নেতাকে তিনি কোনদিন অসম্মান করেছেন, দেখি নি। আরো পড়ুন : কেমন হবে করোনা পরবর্তী বিশ্ব?বাংলাদেশের রাজনীতির এই দুই প্রধান মতাদর্শিক প্রতিযোগী সম্পর্কে আপনাদের বিস্তর সমালোচনা আছে, থাকবে এবং চলবে। আমার আপাতত সেই সবে যোগ দেবার বিশেষ আগ্রহ নাই। কারন বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিহাসচেতনার মারাত্মক অভাব আছে। ঘোড়ার ঠিক নাই, চাকা মেরামত করে কি করব? তাছাড়া আমার সময়ের ভীষণ অভাব, আমি ভালটা নিয়ে আপাতত সামনে অগ্রসর হতে চাই। আমি শেরে বাংলা ফজলুল হককে পছন্দ করি, কারন আমি যদি কোনদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতাম তাহলে তাঁর মতো আলবৎ অখণ্ড বাংলার প্রধানমন্ত্রী হবার চেষ্টা করতাম। বাংলাভাষীদের বিশ্ব জয়ের এটাই পথ। বাংলা দ্বিখণ্ডিত বলে আমাকে বাধ্য হয়ে কবিতা ও দর্শনে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। আমার চিন্তার গোড়া হোসেন শাহের সুলতানি বাংলায়। স্বপ্ন দেখতে অসুবিধা কি? ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা ছাদের তলায় ভাঙা খাটে শুয়ে চাঁদ খুব ভালভাবে দেখা যায়। আরো পড়ুন : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আকুতিআমি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সম্পর্কে কিছুই বলব না। কারণ তিনি আমার নেতা। আমি যা কিছু লিখি বা বলি তা আসলে তাঁর কাছ থেকেই টুকলিফাই করে নিজের ভাষায় লেখা। আমি ঘুমের মধ্যেও তাঁর তালপাতার টুপি পরে বসে থাকি। তাঁর সম্বন্ধে না লিখবার আরেকটি কারণ আছে। আমার সাম্প্রতিক কবিতার বই ‘সদরুদ্দীন'(২০১৮)-এর প্রচ্ছদে মওলানার একটি স্কেচ এঁকে দিয়েছিলাম। শেষ কবিতার শেষ লাইনগুলো ছিল এরকম: “অশ্বের হ্রেষার আওয়াজ। কারা জানি একসঙ্গে তলোয়ার তুলে নিচ্ছে ইনসাফের। বজ্র নির্ঘোষে আওয়াজ হোল, ‘খামোশ’। আলোয় আলোয় ভরে যাচ্ছে আমার ভূবন চলো যাই মদিনায়” ভাগ্য ভালো কেউ বোঝে নাই!!! নইলে…। শেয়ার করতে আইকনে ক্লিক করুনTweetWhatsAppPrintআরো পড়ুন : কেমন হবে করোনা পরবর্তী বিশ্ব? ২০২০-০৫-০৮ bakibillah