যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আশা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগঃ বরগুনা সদর সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০; ১০:১৮ অপরাহ্ণ 337 বার দেখা হয়েছে গোলাম কিবরিয়া,বার্তা সম্পাদক : যৌতুক দাবি করে না পেয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে আশার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রোববার মামলাটি গ্রহণ করে লেমুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে তদন্ত দেন। মামলার আসামি হচ্ছেন- বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল হাকিম মুন্সীর ছেলে মো. কাওসার মিয়া। তিনি আশা প্রতিষ্ঠানের আমতলী উপজেলার গাজীপুরা শাখার কর্মকর্তা। জানা যায়, কাওসার মিয়া ১৪ বছর আগে প্রথমে বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর সংসারে কোনো সন্তান না হওয়ায় প্রতিবেশী বিধবা তাসলিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কাওসার। এক পর্যায় এ বছর ১লা আগস্ট রাতে বিয়ে করে তাসলিমাকে। এক মাস তাদের নতুন সংসার ভালই চলে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কাওসার তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাসলিমার কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তাসলিমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাওসার উত্তেজিত হয়ে তাসলিমাকে গলা টিপে ধরে। তাসলিমা বাঁচার জন্য কাওসারকে ধাক্কা দিলে কাওসার তাসলিমাকে বেধড়ক মারধর করে। তাসলিমার ডাক চিৎকারে তার ভাই মজনু এসে তাকে রক্ষা করে। কাওসার ওই রাতে তাসলিমাকে রেখে চলে যায়। আরো পড়ুন : বরগুনায় নারী চিকিৎসক কারোনা আক্রান্ততাসলিমা বলেন, কাওসার আমার দ্বিতীয় স্বামী। আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। আমার আগের স্বামী আবুল হোসেনের রেখে যাওয়া অর্থ এবং আমার ভাইয়ের অর্থের উপর তিনি লোভ সামলাতে না পেরে আমার কাছে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কাওসার আমাকে বলেন, আমার একটি প্রমোশন হবে। বসদের চার লাখ টাকা দিতে হবে। যৌতুক না দেয়ায় আমাকে আমার ভাইয়ের ঘরে বসে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মামলা করি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাওসার বলেন, তাসলিমা ও তার ভাই মজনু ৮ আগস্ট আমার নিকট থেকে জোর করে ৬টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। এ ব্যাপারে আমি বরগুনা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাসলিমা ও তার ভাই মজনুর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আরো পড়ুন : বরগুনায় যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগশেয়ার করতে আইকনে ক্লিক করুনTweetWhatsAppPrint ২০২০-০৯-২১ bakibillah