সন্তানের কান্না সইতে না পেরে রাস্তায় বরগুনার এই বাবা বিভাগঃ আমতলী এপ্রিল ৮, ২০২০; ৭:৩৬ অপরাহ্ণ 483 বার দেখা হয়েছে বরগুনা অনলাইন : করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে। সবাই নিজ ঘরে অবস্থান করলেও নিম্ন আয়ের মানুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার টানে রাস্তায় নামছেন। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভ্যানের ওপর বোম্বাই মরিচের পসরা সাজিয়ে শহরের অলিগলিতে ঘুরতে থাকা এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। মো. আবদুল সাত্তার মৃধা জানান, আজ ১৪ দিন দোকান বন্ধ। আমি বা আমার পরিবার কিভাবে বেঁচে আছি কেউ একটা দিন খবর নেয়নি। বাসায় বাজার নেই। খাবারের জন্য বাচ্চারা কান্না করছে। আমি আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বড়রা না খেয়ে থাকলে সমস্যা নেই। ছোটদের কি না খাইয়ে রাখা যায়? বাবা হয়ে বাচ্চার ক্ষুধার কান্না সইতে পারি না। তাই পরিবারের জীবন বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। আরো পড়ুন : বরগুনায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষিকার সংবাদ সম্মেলনতিনি আরও বলেন, আজ গাছে মাল (মরিচ) পচবে। তাই মহাজন দুই হাজার বোম্বাই মরিচ সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করতে দিয়েছে। সেটা নিয়ে বিকেলে রাস্তায় বের হয়েছি। প্রশাসনের ভয়ে পালয়ে পালিয়ে বিক্রি করি। ছোট সাইজের প্রতি পিচ বোম্বাই মোরিচ ১ টাকা আর বড় সাইজের বোম্বাই মরিচ ২ টাকা দরে বিক্রি করছি। জানা গেছে, বরগুনা জেলার আমতলীর গোছখালী এলাকার বাসিন্দা লালমিয়া মৃধার ছেলে সাত্তার। পটুয়াখালী পৌর শহরের নতুন বাজার পন্ডিতের গলিতে ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন সিজনাল ক্ষুদ্র কাঁচামাল বিক্রেতা মো. আবদুল সাত্তার মৃধা। শহরের সদর রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মীর আতিকুল ইসলাম সিহাব বলেন, ওর কষ্টের কথা শুনে আমি ২শ পিচ মরিচ কিনেছি। এই ক্রান্তিকালে সবাই সবার পাশে থাকা উচিৎ। যেভাবে সম্ভব সাহায্য করা উচিৎ। আরো পড়ুন : আমতলীতে ফসলী জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিসূত্র : জাগো নিউজ শেয়ার করতে আইকনে ক্লিক করুনTweetWhatsAppPrint ২০২০-০৪-০৮ bakibillah