ফেসবুকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় যুবক আটক

গোলাম কিবরিয়া : বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক আপত্তিকর অশালীন মন্তব্য, মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন লেখা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে নুর হোসেন ইমাম (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বরগুনা পৌরসভার আমতলা পাড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা আবদুল গনী মিয়ার ছেলে।

বরগুনা শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে আটক করে মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে আটক করা হয়।

বরগুনা সদর থানার ওসি আবির হোসেন জানান, সর্বশেষ সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার এম এ আজিমের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ায় ইমাম। পরে এঘটনায় সাংবাদিক আজিম বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করলে শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ইমামকে আটক করা হয়।

বুধবার (১৩ মে) নূর হোসেন ইমামকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন।

এদিকে নুর হোসেন ইমামকে আটক করায় ওসি আবির হোসেনসহ জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরগুনার সচেতন মহল। তাদের দাবি ওই যুবক নিজে একজন ইয়াবা সেবনকারী এবং চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।

এ বিষয়ে সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক এম এ আজিম বলেন, আপন ভাই বোনের ছবি দিয়ে, মা ও মেয়ের দেহ ব্যবসা শিরোনামে ফেসবুকে একটি মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করে একটি চক্র। তাদের সেই ভিডিওতে দেখা যায় সাংবাদিক পরিচয়ে তারা ওই মেয়েটির ঘরে ঢুকে পতিতা বলে তাদের গালমন্দ এবং মারধর করে। এ বিষয়ে গত ১০ মে (রোববার) সময় টিভিতে আমি একটি রিপোর্ট করলে এতে ওই চক্রটির অন্য সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। পরে আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এতে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়, তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, এই যুবকের বিরুদ্ধে শুধু একটা অভিযোগ নয়, মাদক সেবন ও ব্যবসা-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সে জড়িত। এই যুবকসহ যারা এইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস বলেন, ফেসবুকে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্মানহানি করার অধিকার কারো নেই, নুর হোসেন ইমাম নামের এই মাদকাসক্ত যুবক যা করেছে আমি চাই তার কঠিন বিচার হোক। যাতে তাকে দেখে অন্য অপরাধীরাও শিক্ষা পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *