বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামে বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। পরিবারের অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে সে। সাহসী ওই কিশোরীর নাম তানজিলা (১৪)। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েতে বাধ্য করার প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে নিজের বাবা, মা, বোন-ভগ্নিপতি এবং এক গ্রাম্য ওঝার নামে বরগুনা থানায় মামলা করেছে সে। মামলার পর অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থীর বোন ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তানজিলা জানায়, সে গৌরীচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তার বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি সবাই মিলে তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ‘জিনে’ ধরেছে, এমন অভিযোগ এনে গ্রাম্য এক ওঝা ডেকে ঝাড়-ফুঁকের নামে মারধরও করেন তাঁরা।
বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানায় তানজিলা। সে জানে, বাল্যবিবাহ হলে একটি মেয়ের যেমন শারীরিক ঝুঁকি থাকে, তেমনি তার মানসিক বিকাশও আটকে যায়। বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনাও। সেজন্যই সে এখন বিয়ে করতে চায় না।
তানজিলা আরো জানায়, এর আগেও একাধিকবার তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার বাবা-মা। সে সময় সে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিল।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন জানান, কিশোরীর করা মামলাটি নেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বোন জেসমিন (২০) ও ভগ্নিপতি মিলনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।