গোলাম কিবরিয়া,বরগুনা : বরগুনায় এক যুবতীকে নিয়ে তাইমুন নামের এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর লেখা ও ছবি আপলোড করায় থানায় জিডি করে পুলিশের কোনো সহায়তা না পেয়ে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে যুবতী। মুমূর্ষ অবস্থায় ওই যুবতীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়াশ করার পরে বিপদ মুক্ত হয়েছে। ওই যুবতী বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামের মহিলা মেম্বর লাইলীর মেঝ মেয়ে। তাইমুন একই গ্রামের মীর নজরুল ইসলাম খোকনের ছেলে।
যুবতীর মা লাইলী জানান, তার প্রতিবেশী তাইমুন তার ফেসবুক আইডি দিয়ে ২৬ ও ২৮ আগস্ট তার মেয়েকে নিয়ে ছবিসহ পোস্ট দেয়। এতে বলা হয়- “এই মেয়েটি কাল রাতে পাঁচজন ছেলের সাথে এক রুমে ধরা পরেছে”। এ ছাড়াও জীবন যুদ্ধে হেরে গেছি অপর একটি ফেক আইডি দিয়ে তাইমুন ছবিসহ পোস্ট দেয়, “৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর তার দুই মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করে তিনবার ধরা পরেছে”।
মহিলা মেম্বর লাইলী বেগম শনিবার বলেন, তাইমুন আমার মেয়ে ও আমাদের ছবি দিয়ে পৃথক দুইটি আইডি দিয়ে অশ্লীল পোস্ট আপলোড করে আমাদের মান সম্মান নষ্ট করে দিয়েছে। আমি একজন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার ও আমার মেয়েদের সম্মান তাইমুন নষ্ট করে দিয়েছে।
আমি ৩০ আগস্ট বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করি। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার মেঝ মেয়ে মনের কষ্টে ও লজ্জায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। আমরা দেখতে পেয়ে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার ওয়াশ করে বিষমুক্ত করেন। এখনও আমার মেয়ে হাসপাতালে। তিনি আরও বলেন, তাইমুনের মায়ের সঙ্গে নির্বাচন করে আমি মেম্বর নির্বাচিত হয়েছি। সেই থেকে ওরা আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে। আমি জিডি করার পর পুলিশ তাইমুনকে আটক করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। পাঁচদিনেও পুলিশ জিডির তদন্ত কিংবা ঘটনা স্থলে যায়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন এএসআইকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে কী করেছে খোঁজ নিয়ে জানাব।